মৃত্যুর যন্ত্রণা এত কঠিন | মানুষের মৃত্যু কিভাবে হয়।

আসসালামু আলাইকুম, আমি আজকে এমন একটি হাদিস সম্পর্কে আলোচনা করব যা কিনা মৃত্যুর সময় আল্লাহ তা'আলা মুমিন এবং কাফেরের মধ্যে যে তফাৎ বা পার্থক্য রয়েছে সেই সম্পর্কে আল্লাহু রাব্বুল আলামিন মৃত্যুর সময় মুমিন বান্দাদের যে সম্মানের সহিত জান কবজ করা হয় এবং কাফেরের মৃত্যুর সময় অসম্মানের সহিত অর্থাৎ কষ্ট দিয়ে জান কবজ করা হয় এই প্রসঙ্গে আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে শুধুমাত্র কাফেরের মৃত্যুর সময় যে অপমান বা অপদস্থ করা হয় সেই সম্পর্কে আলোচনা করব।
মৃত্যুর যন্ত্রনা কত কঠিন গজল মৃত্যুর যন্ত্রনা কত কঠিন সইতে আমি পারিব না মৃত্যু কত ভয়ংকর মৃত্যু সম্পর্কে আলোচনা pdf মানুষের মৃত্যু কিভাবে হয় মৃত্যুর আগে ১২ টি সংকেত ইসলাম মৃত্যুর আগে ১২ টি সংকেত মৃত্যুর পর মানুষের মস্তিষ্ক কত মিনিট সক্রিয় থাকে মানুষের মৃত্যু নিয়ে উক্তি মৃত্যু কি সহজ কোথায় আঘাত করলে মানুষ মারা যায় মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর পর মানুষের শরীরে কি ঘটে মৃত্যু নিয়ে ক্যাপশন

সম্মানিত পাঠক বৃন্দ আমার এই পোস্টটি পড়ে অবশ্যই ইসলামিক জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন এবং ভুল ভ্রান্তি মার্জনীয় ভাল হতেই পারে যদি আমার এই পোস্ট লিখতে যেয়ে বানান বা অন্যান্য ভুল ত্রুটি পেয়ে থাকেন অবশ্যই আমাকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন আমি সংশোধন করার চেষ্টা করব চলুন কার কথা না বলে হাদিস সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।

আরো পাড়ুন,

যখন কাফেরের মৃত্যুর সময় আসে তখন আকাশ থেকে কালো চেহারা বিশিষ্ট একদল ফেরেশতা চট বা চাটাই নিয়ে তার কাছে আগমন করেন এবং লোকটির দৃষ্টি যে পর্যন্ত যায় সে পর্যন্ত বসে পড়েন। অতঃপর মালাকুল মউত আগমন করেন এবং তার মাথার কাছে বসে বলেন হে অপবিত্র আত্মা আল্লাহর অসন্তু একটি দিকে বের হয়ে আসো।

মালাকুল মউতের নির্দেশ শুনে রুহ শরীরের ভেতর ছুটাছুটি করতে থাকে ভয় কিছুতে বের হতে চায় না। হলে মালাকুল মউত কাবাবের সিট কে ভেজা ফুলের কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করার নাই তার রুহুকে হাতে তুলে নেন। কিন্তু অন্যান্য ফেরেশতাগণ মুহূর্তের মধ্যে তার হাত থেকে রুটি নিয়ে চটে জড়িয়ে নেন। পচা কলা গাছ থেকে যেমন দুর্গন্ধ ছড়ায় ওই চড় থেকে কেবল দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে।

ফেরেশতাগণ রুহুকে নিয়ে আকাশের দিকে উঠতে থাকেন। ফেরেশতাদের যে দলের সাথেই সাক্ষাৎ হয় তারা জিজ্ঞাসা করেন এটা কোন পাপিষ্ঠের রুহ জবাবে ফেরেশতা সে ব্যক্তির সবচেয়ে নিকৃষ্ট নামটি উল্লেখ করে বলেন অমুকের পুত্র অমুক। অবশেষে ফেরেশতা গোল তাকে নিয়ে প্রথম আসমান পর্যন্ত পৌঁছে যান এবং আসমানের দরজা খুলতেই আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন তার নাম সিজিনে লিপিবদ্ধ করে দাও।

সিজন হল জমিনের সবচেয়ে নিম্ন স্তর ওই নির্দেশের পর তার রুহুকে সেখান থেকে সরে ফেলা হবে অতঃপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শিরক করল সে যেন আকাশ থেকে পড়ে গেল। অতঃপর পাখিরা তাকে ছো মেরে নিয়ে গেল কিংবা বাতাস তাকে কোন দূরবর্তী স্থানে নিয়ে ফেলল। অতঃপর রুহকে আবার নিজস্ব দেহ ফিরিয়ে।

তখন দুজন ফেরেশতা তার নিকট আসেন এবং তাকে বসিয়ে প্রথমে জিজ্ঞাসা করেন তোমার প্রতিপালক কে সে উত্তর বলে আফসোস আফসোস আমি তো কিছুই জানিনা। অতঃপর জিজ্ঞাসা করেন তোমার ধর্ম কি উত্তর আছে বলে আফসোস আফসোস আমি বলতে পারিনা। পুনরায় ফেরেশতা তাকে জিজ্ঞাসা করেন এই ব্যক্তি কে যাকে তোমার নিকট পাঠানো হয়েছিল উত্তরের সে বলে আফসোস আফসোস আমি জানিনা।

ছাওয়াল জবাব শেষ হওয়ার পর আসমান থেকে একজন ঘোষণাকারী আওয়াজ দেয় এই ব্যক্তি মিথ্যা বলেছে। অর্থাৎ সবকিছুই তার জানা। কিন্তু দুনিয়াতে সে আল্লাহকে রব বলে মানতো না দ্বীনের উপর চলতো না এবং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম কে নবী হিসেবে স্বীকার করত না। এখানে আজাব থেকে বাঁচার জন্য না জানার কথা বলছে তার নিচে আগুনের বিছানা বিছিয়ে দাও এবং তার জন্য জাহান্নামের দরজা খুলে দাও। তখন জাহান্নামের দরজা খুলে দেওয়া হয়। সে দরজা দিয়ে জাহান্নাম থেকে গরম বাতাস আসতে থাকে।

অতঃপর তার কবরকে সংকুচিত করে দেওয়া হয়। ফলে তার একদিকের পাঁজর অপরদিকে পাঁজরে ভেতরে ঢুকে পড়ে। অতঃপর বিশ্রী পোশাক পরিহিত অত্যন্ত খারাপ চেহারার বিশিষ্ট এক ব্যক্তি তার সামনে উপস্থিত হয়। তার শরীর থেকে সীমাহীন দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে। সে তাকে লক্ষ্য করে বলে বিপদের খবর শুনে নাও। যেদিন সম্পর্কে তোমাকে ওয়াদা দেওয়া হয়েছিল এটা সেই দিন।

তখন কাফের তাকে জিজ্ঞাসা করে তোমার পরিচয় কি বাস্তবে কি তোমার চেহারা দুঃসংবাদ শোনানোর উপযোগী। উত্তরা সে বলে আমি হলাম তোমার বদ আমল। তখন সেই লোক এ কথা শুনে কিয়ামতের কঠিন আজাব গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে বলতে থাকবে হে আল্লাহ কেয়ামত সংঘটিত করো না মিশকাত শরীফ

অন্য এক রেওয়াতে আছে যখন কোন মুমিনের মৃত্যু হয় তখন আসমান জমিনের মধ্যবর্তী ও আসমানের ফেরেশতাগণ তার জন্য রহমতের দোয়া করতে থাকে। তার জন্য আকাশে দরজা সমূহ খুলে দেওয়া হয় এবং প্রত্যেক দরজায় অবস্থানকারী ফেরেশতাগণ আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকেন যেন আমাদের পাশ দিয়ে সে মুমিনের রুহকে আকাশে উঠানো হয়।

আর কাফেরদের সম্পর্কে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এরশাদ করেছেন শরীর রগ সহকারে তাদের রুহু বের করা হয়। আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী স্থান ও আসমানের সকল ফেরেশতা তাকে অভিশাপ দিতে থাকে। তার জন্য আসমানের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং প্রত্যেক দরজার ফেরেশতাগণ আল্লাহর কাছে দোয়া করতে থাকেন যেন আমাদের পাশ দিয়ে উঠানো না হয়। ধন্যবাদ সবাইকে ধয্য সহকারে পোষ্টটি পড়ার জন্য।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url